বারেকটিলা / যাদুকাটা, সুনামগঞ্জ
সুনামগঞ্জ শহর থেকে ২০ কিলোমিটার এবং তাহিরপুর উপজেলা সদর থেকে ১০ কিলোমিটার দূরে তাহিরপুরের সীমান্তবর্তী ভারতের মেঘালয় রাজ্যের খাসিয়া পাহাড় ঘেঁষে অবস্থিত বারিক টিলা ও তার পাশ দিয়ে প্রবাহিত পাহাড়ি নদী যাদুকাটা যেন নৈসর্গিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি। প্রাচীন বাংলার প্রথম রাজধানী লাউড়ের তীরে অবস্থিত সুনামগঞ্জের সীমান্তনদী যাদুকাটাকে বলা হয় রূপের নদী।
বর্ষায় পাহাড়ি নদী যাদুকাটার বুকে স্রোতধারা আর হেমন্তে শুকিয়ে যাওয়া যাদুকাটার বুক জুড়ে ধু-ধু বালুচর এবং পার্শ্বস্থ ভারতের সারি-সারি উচু-নিচু মেঘালয় রাজ্যের খাসিয়া পাহাড় ও বাংলাদেশের বারিকটিলার সবুজ বনায়ন মাটিয়া পাহাড় এখানে আসা লোকজনের দৃষ্টি কেড়ে নেয়। বারিকটিলার উপর দাঁড়ালে একদিকে চোখে পড়ে হাওর ও অন্যদিকে সারি সারি পাহাড়। এ মনোরম দৃশ্য যে কারোরই মন কেড়ে নেয় সহজেই। যাদুকাটা ও বারেকটিলার নয়নাভিরাম দৃশ্যকে নিয়ে রয়েছে পর্যটন শিল্পের এক উজ্জ্বল সম্ভাবনার হাতছানি। যাদুকাটা যেমনি প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দিয়ে শোভামণ্ডিত করেছে এলাকার নান্দনিকতা তেমনি যাদুকাটার বালি ও পাথর উত্তোলন করে জীবিকা নির্বাহ করে আসছে প্রায় ৩০ হাজার শ্রমিক।
বছরের নির্দিষ্ট দিনে যাদুকাটা নদীর তীরে অনুষ্ঠিত হয় বৃহত্তর সিলেট অঞ্চলের সবচেয়ে বড় মেলা ‘বারুণি মেলা’। এই সময় সনাতন ধর্মের লোকজন তীর্থরূপি যাদুকাটায় স্নান করার আশায় এসে জড়ো হন নদীতীরের অদ্বৈত মহাপ্রভু চৈতন্যের নবগ্রামে। তাছাড়াও বছরের বারো মাস এখানে দর্শনার্থীদের আনাগোনা লক্ষণীয়।
যেভাবে যেতে হবে
ঢাকা থেকে সুনামগঞ্জ – শ্যামলী আর ইউনিক ছাড়া অন্য কোনো বাস যায় না। সুনামগঞ্জ থেকে তাহিরপুর যেতে হবে। তাহিরপুর থেকে মাত্র ১০ কিমি দুরে অবস্থিত যাদুকাটা ও বারেকটিলা। তাহিরপুরে হোটেল ও ডাকবাংলো আছে। রাতটা তাহিরপুর থানার ডাকবাংলোতে থাকতে পারেন। অথবা সুনামগঞ্জের হোটেলেও রাত্রিযাপন করতে পারেন। সুনামগঞ্জ থেকে যাদুকাটার দুরত্ব ২০ কি.মি.। সুতরাং সুনামগঞ্জ থেকে অনায়েশেই যাতায়াত করতে পারবেন।
No comments:
Post a Comment